নিজস্ব প্রতিবেদন : ৫ অক্টোবর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ এবং উত্তর আরব সাগরের বেশিরভাগ অংশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে, এই বায়ুর প্রত্যাহার রেখা অক্ষাংশ ২৯ ডিগ্রি উত্তর ও দ্রাঘিমাংশ ৮৪ ডিগ্রি পূর্বের নওতানওয়া, সুলতানপুর, পান্না, নর্মদাপুরম, খারগাঁও, নন্দুরবার, এবং নভসারি বরাবর বিদ্যমান। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আরও কিছু অংশ থেকে এই বায়ুর প্রত্যাহার হতে পারে।
বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত এবং উত্তর-পূর্ব অসমের উপর আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ছিল বিচ্ছিন্ন। অসম, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, এবং হিমাচল প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
আগামী ২৪ ঘণ্টায়, তামিলনাড়ু, কেরল, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক, উপকূলীয় কর্ণাটক, এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, আন্দামান ও নিকোবর, বিহার, পূর্ব উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কোঙ্কন ও গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, এবং উত্তর অভ্যন্তরীণ কর্ণাটকেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর ভারতের আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে দেরি হচ্ছে। বর্তমানে দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় দিনের তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা গরমের অনুভূতি সৃষ্টি করছে। এমনকি রাতেও গরমের কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলে আসলেও এসি ও কুলার বন্ধ করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, রবিবার কাশ্মীরে তুষারপাত শুরু হয়েছে। এই তুষারপাতের কারণে কাশ্মীরে পর্যটনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে দুর্গাপূজা ও দশেরার ছুটির কারণে। যদিও উত্তর ভারতকে অন্তত এক সপ্তাহ গরম সহ্য করতে হবে, তুষারপাতের ফলে শীতল আবহাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সকাল-সন্ধ্যায় কিছুটা শীতলতা অনুভূত হতে পারে।