নিজস্ব সংবাদদাতা: চলছিল রাস্তা সারাইয়ের কাজ। তার মাঝেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। উৎসবের আমেজ শুরু না হতেই বাঁশদ্রোণীতে পড়ুয়ার মৃত্যু। সকাল বেলায় কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলো বছর ১৫-র ছাত্র। ঠিক সেই সময় রাস্তা সারাই করবার জেসিবির ধাক্কায় প্রাণ গেল এক পড়ুয়ার। পড়ুয়ার মৃত্যুতেই ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে বাঁশদ্রোণীর দিনেশ নগরের ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এমনকি পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তারা। আর সেই ঘটনার ৭ ঘন্টা পেরতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলো পরিস্থিতি।
কাউন্সিলর তো এলেনই না, তাঁর বদলে কাউন্সিলরের অনুগামীরা এলেন। আর শুধু এলেনই না, পুলিশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদ করলেন। নারী পুরুষ বাদবিচার না করেই চললো তাঁদের দাদাগিরি। আর পুলিশের ভূমিকা, নিপাটই দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো।
এদিন ছাত্রের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা সকলে মিলে পথ অবরোধে নামেন। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এলাকার মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার রাস্তার সংস্কার করবার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই মতো পুজোর আগে রাস্তা সংস্কার করবার কাজ শুরু করে প্রশাসন। দ্রুত গতিতে যাচ্ছে বিভিন্ন জেসিবি। সাধারণ মানুষের পরোয়া না করেই রাস্তায় কোনো রকম বাধা ছাড়াই নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে চলছে এই জেসিবি। সকালে পড়তে যাওয়ার সময় ঠিক সেরকম ভাবেই ওই পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে নিয়ন্ত্রণহীন একটি জেসিবি। তাতেই প্রাণ হারায় ওই ছাত্র।
স্থানীয়রা দাবি করেন, কাউন্সিলর এখানে আসুক। কিন্তু এতো সময় পেড়িয়ে যাওয়ার পরও কাউন্সিলরের দেখা মেলেনি। আর তাতেই উত্তেজনার পারদ আরও চড়তে থাকে। কিন্তু পুলিশ তা শান্ত না করিয়ে কাউন্সিলরের অনুগামীদেরই রক্ষা করার দায়িত্ব নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর তাতেই উত্তেজনা ছড়ায় আরো প্রবল ভাবে।