'বাংলার গর্ব মমতা', স্লোগানে গমগম করছে শহর

শুক্রবার সকাল থেকেই শহরে লোকে লোকারণ্য। আজ কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি মিছিল ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে যাবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

author-image
SWETA MITRA
New Update
tmc ss.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আজ শুক্রবার ৩০তম শহীদ দিবস উপলক্ষে বক্তব্য পেশ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ ২১-শে জুলাই দিনটিকে ঘিরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। জলপথ, সড়কপথ ও রেলপথের মাধ্যমে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ শহর কলকাতায় আসছেন। সকলের হাতেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাণ্ডা। সেইসঙ্গে সকলের মুখে একটাই স্লোগান, 'বাংলার গর্ব মমতা'। আর এই স্লোগানের জেরে গমগম করছে গোটা তিলোত্তমা। 


তৃণমূলের তরফে একের পর এক টুইট বার্তায় লেখে হয়েছে, 'আজ থেকে ঠিক ৩০ বছর আগে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারান ১৩ জন সাহসী শহীদ। তাদের অদম্য চেতনা, সাহস এবং সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে।  আজ শহীদ দিবসে (Shahid Dibas) আমরা তাঁদের বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।' 

এদিন সমাবেশ শুরুর আগে  এক বিশেষ টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘শহিদ দিবস, স্থিতিস্থাপকতার একটি দিন, আমাদের হৃদয়ে অগণিত আবেগ জাগিয়ে তোলে! স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী ১৩ জন বীর শহীদের প্রতি আজ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বাংলা। অনুপ্রাণিত হয়ে আমি একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজের জন্য কাজ করে যাবো।‘

অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই শহরে লোকে লোকারণ্য। আজ কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি মিছিল ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে যাবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। মূল মঞ্চটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মঞ্চের প্রথম ভাগে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ও আমন্ত্রিতরা। 

এদিকে ২১-শে জুলাইকে ঘিরে শহর সেজে উঠলেন রাস্তায় বেরিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেখা নেই ট্যাক্সি, বাসের। শিয়ালদহ হোক বা হাওড়া, এই দুই স্টেশনের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, দেখা মিলছে না প্রিপেড ট্যাক্সির।  যে কারণে চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। 

অন্যদিকে আপত্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে সভাস্থলে ৪৫টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ। সেইসঙ্গে প্রস্তুত থাকবে ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্স। আজ শহরে নেমেছে ৫০০০-এরও বেশি পুলিশ বাহিনী।