নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশ তাঁকে কখনও আপন করেনি। প্রতিবার বিভিন্ন ভাবে আক্রান্ত হতে হয়েছে তাঁকে। আর তিনিও বাংলাদেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছেন, গর্জে উঠেছে তাঁর কলম, লেখনীতে ধরা দিয়েছে প্রতিবাদ। তাই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও প্রতিবাদ দেখালেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
গতকাল আইনজীবী না থাকার দরুণ জেল থেকে মুক্তি পাননি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। সেই জামিন দেওয়ার বিলম্বের সমালোচনা করেছেন তসলিমা নাসরিন। এমনকি সন্ন্যাসীর হয়ে যে আইনজীবী প্রথমদিন সওয়াল করেছিল, তাঁর ওপরও মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে জানা যায়। তাঁর অবস্থা এতোটাই সঙ্গীন হয়ে যায়, যে তাঁকে আইসিইউ-তে দিতে হয়েছে। এই সমসাময়িক পরিস্থিতি দেখে তসলিমা আর চুপ থাকতে পারেননি। তাই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
তসলিমা নাসরিন পরিস্থিতিটিকে ‘হিন্দু বিদ্বেষ’ এর প্রমাণ হিসাবে নিন্দা করেছেন যাকে তিনি ‘জিহাদিদের দেশ’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর কথায়, “আইনজীবী নেই। জিহাদিদের দেশে হিন্দু বিদ্বেষ বোঝার জন্য এই বাক্যটাই যথেষ্ট। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেউ যাতে রক্ষা করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিন্ময়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সবই মিথ্যা ও বানানো। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেলে রাখার উদ্দেশ্য তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা এবং হিন্দু জাগরণকে ক্ষুণ্ন করা। জিহাদিরা তাদের ভূমি হিন্দুমুক্ত করতে চায়। তারা তাদের লক্ষ্যে কাজ করছে”।
খানিকটা এরকমই, ক্ষুব্ধ হয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন লেখিকা। এর আগে ভারতের পতাকা অবমাননার ক্ষেত্রেও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। ‘বিকৃত সুখ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। আর এবার ফের একবার ইসকন সন্ন্যাসী জামিন রুখে যাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে একহাত নিলেন তসলিমা নাসরিন।