নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার ইডির নজরে তিনটি কোম্পানি- শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড। সংস্থাগুলি বাকিবুর রহমানের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। এই তিনটি কোম্পানির নামে ১২.৬ কোটি টাকার ভুয়ো সিকিউরিটি প্রিমিয়াম দেখানো হয়েছে বলে দাবি করল গোয়েন্দা সংস্থা। তিনটি কোম্পানিতে প্রায় ৮ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ৯০ শতাংশ নগদে জমা দেওয়া হয়েছে।
বাকিবুর স্বীকার করেছেন যে এই তিনটি সংস্থা অধিগ্রহণের জন্য তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশ মেনে তাঁর জন্য লোনের ব্যবস্থা করে দেন। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন এই সংস্থাগুলির সুবিধাভোগী। লোনের টাকা এখনও পর্যন্ত মেটাননি। মেয়ে এবং স্ত্রী ছিলেন এই তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর। এই তিনটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে শস্য বিক্রির টাকা জমা করা হয়েছিল। পরে দেখা যায় এই তিনটি সংস্থাই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২০.২৪ কোটি টাকা বাকিবুরের এক আত্মীয়র অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। পরে এই টাকা এম এস অ্যাগ্রোটেক এবং এমএস এজে রয়্যাল নামক দুটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৬.০৩ কোটি টাকা এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে ৩.৭৯ কোটি টাকা জমা পড়েছে।