নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঙালির ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। তার ওপর সামনেই বিশ্ব কর্মা ও গণেশ পুজো। সিদ্ধিদাতার পুজো না হলে কোনো পুজোই শুরু হয় না। যদিও এবছরে এক বিরল যোগ রয়েছে। আগে বিশ্বকর্মার পুজো তারপর গণেশ পুজো। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে দিনভর চলবে ঘুড়ির লড়াই। ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ঘোর অমঙ্গলের কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ফলে দুর্যোগের হাতছানিতে পুজো নিয়ে সংশয়ে পুজো উদ্যোক্তারা। আকাশ যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে কিভাবে হবে ঘুড়ির প্রতিযোগিতা? একটা দিনই বাঙালি আশায় থাকে ভোকাট্টা করার।
জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।একটি রয়েছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। অপর ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে গত সোমবার। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে৷ ফলে লক্ষ্মীবার পর্যন্ত থাকবে বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। অন্যদিকে, উত্তর ওড়িশা ও তার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে রয়েছে সুস্পষ্ট একটি নিম্নচাপ রেখা৷ হাওয়া অফিস বলছে, এটি আগামী দু'দিনে ছত্তিশগড় ও পূর্ব মধ্য প্রদেশের দিকে এগিয়ে যাবে৷
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে শহরে। রাস্তাঘাট কাদা প্যাচপ্যাচে। রাস্তার খানাখন্দ ভরে গিয়ে বিপত্তি। দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে। তবে, বিগত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির জেরে ভ্যাপসা গরম থেকে মিলেছে মুক্তি। আবহাওয়ার বদলে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমেছে একধাক্কায়। তবে ব্যাপক দুর্যোগে মাটি হবে না তো পুজো? উঠছে প্রশ্ন।