নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের চলমান অনশনের আজ একাদশ দিন পূর্ণ হল। এই সময়ের মধ্যে ৫ জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তবে তারা এখনও অনশনে অটল রয়েছেন। অনশনকারী ডাক্তার তনয়া পাঁজার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তিনি এখনও আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, গতকাল যখন তনয়াকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়, তখন তাঁর শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত ছিল এবং মূত্রে কিটোনের মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই সমস্যা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
আজ বেশ কিছু পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে তনয়ার জন্য। তিনি ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন শুরু করেছিলেন, এবং গতকাল ধর্নামঞ্চে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, তনয়ার সহযোদ্ধা জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও, খাবার খেতে না চাওয়ায় চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন।
জেলায় জেলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি ও অনশনের সমর্থনে বাঁকুড়াতে ১২ ঘণ্টার অনশনে বসেছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ। এই অনশন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে, অন্যদিকে, দ্রোহের কার্নিভাল উপলক্ষে বিকেলে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
হুগলি-চুঁচুড়া অঞ্চলের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) ডাকে দুই দিনের কর্মবিরতি চলছে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নতুন করে খোলা হয়েছে অভয়া ক্লিনিক, যেখানে রোগীদের ভিড় বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে, কিন্তু আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন ১১ দিন হয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় চিকিৎসকরা প্রতীকী অনশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।