বিপদ বাড়ছে সরকারের! রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে আরও এক চিকিৎসকের ইস্তফা

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের আরও এক চিকিৎসকের ইস্তফা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
swatha bhavap edit.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে আরও এক চিকিৎসক পদত্যাগ করেছেন।  চিকিৎসক সুমন মুখোপাধ্য়ায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য কাউন্সিলের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এর আগে রাজ্য কাউন্সিল থেকে ইস্তফা দেন চিকিৎসক  দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, উত্তাল পরিস্থিতিতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নাম বিতর্কে জড়িয়েছে। বিতর্ক না মেটা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সদস্যদের কাউন্সিলের কাজ থেকে দূরে রাখার আবেদন করেন তিনি। এর সঙ্গে তিনি কাউন্সিলের কাছে ইস্তফা পত্র পাঠান। 

অন্যদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। সেই অনুযায়ী বৈঠকের কথা সমস্ত সদস্যকে ইমেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যের  বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়।

rg kar protest 2222

অন্যদিকে, আরজি করের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠছে। বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ। টাকার বিনিময়ে টুকলি, চিকিৎসকদের বদলির হুমকির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে। অভিক দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। অভিক দে-র বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন ডিন। অভিক দের বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তারাও বিক্ষোভ দেখান। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে অভিক দের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। অভিক দে-কে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হবে না বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়া, জুনিয়র চিকিৎসকরা। 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৯ আগস্টের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে লাল রঙের জামা পরা এক যুবককে দেখতে পাওয়া যায়। তখন থেকে প্রশ্ন ওঠে, সেমিনার রুমে লাল শার্ট পরা যুবকটি কে? এখানে কী করছে? লাল বাজারের তরফে জানানো হয়েছিল, ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ তিনি। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভিক দে। ওই যুবক এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি। তিনি তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা তিনি। কিন্তু সেদিন সেমিনার হলে তিনি কী করছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি। 

অন্যদিকে, সেদিন সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁকে জুনিয়র চিকিৎসককে ফেল করানোর হুমকি দিতে শোনা গেছে। সেই বিতর্কিত চিকিৎসককে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। 

 tamacha4.jpeg