যাদবপুর Ragging মুক্ত হোক! মুখ খুললেন 'পলাতক' অভিযুক্ত

প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভ চৌধুরী ছাড়াও এক ছাত্রনেতার নাম উঠে এসেছিল যিনি হলেন অরিত্র ওরফে 'আলু'। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সেই অভিযুক্ত।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
hostel

নিজস্ব সংবাদদাতা: তাঁর বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ না থাকলেও যে অভিযোগটি আছে, তা গুরুতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে 'আলু'র নাম আগেই জড়ায় ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায়। পুলিশ তাঁর নাম না করলেও সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম, দিনের পর দিন চর্চা করছে 'আলু'কে নিয়ে। তাঁর নীরবতা আগুনে ঘি ঢেলেছে। মঙ্গলবার নীরবতা ভেঙে পোস্ট করলেন বহুচর্চিত 'আলু'।

দুটি অভিযোগ নিয়ে লিখলেন অরিত্র। এক, ৯ আগস্ট রাতে হস্টেলে ছিলেন এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে তাঁর সামনেই। এই অভিযোগ অস্বীকার করে অরিত্র লেখেন যে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। গত ৯ অগস্ট রাতে তিনি মেন হস্টেলে যাননি। এমনকি যেতেও পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে ভর্তি করা হয়েছিল নদিয়ার ছাত্রকে। তদন্ত করলে সেই রাতে হস্টেলে তাঁর অনুপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অরিত্র। দ্বিতীয় অভিযোগ, তিনি নাকি ঘটনার পর থেকে 'পলাতক'। কারুর কারুর দাবি, রাজ্যের শাসকদলের কোনও প্রভাবশালী নেতার আশ্রয়ে তিনি লুকিয়ে আছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন যে গত ১০ অগস্ট তিনি কলকাতা ছাড়েন। কাশ্মীরের গ্রেট লেকস- এর ট্রেকের কথা অনেক দিন আগে থেকেই ঠিক হয়। চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কেটে রাখেন। টিকিটগুলির ছবিও দিয়েছেন অরিত্র। তথ্যপ্রমাণ যাচাই না করেই  তাঁর বিরুদ্ধে সত্য নিজের মতো বানিয়ে প্রচার করাকেও তিনি একপ্রকার নির্যাতন বলছেন। 

ফেসবুক পোস্টে অরিত্র সোজা লেখেন যে তিনি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। কলকাতায় ফিরছেন। বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেই থাকবেন তিনি। নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি এবং Ragging মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে পোস্ট করেন অরিত্র। মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণারত অরিত্রের বিরুদ্ধে নেই অভিযোগ। এদিকে সেই রাতের ঘটনার পরেই অভিযোগ ওঠে যে অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী নাকি এক প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে ফোন করেছিলেন যিনি হলেন অরিত্র। এদিকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছিলেন যে সেই রাতে গেট বন্ধ করে রাখা, পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশের নেপথ্যে অরিত্র মজুমদার-সহ দুই নেতার কী ভূমিকা ছিল? লালবাজার প্রকাশ্যে দাবি করেছিল যে ওই প্রাক্তন ছাত্রনেতার খোঁজ তারা করেনি।