ভবনের গঙ্গাবক্স কানোরিয়া বিদ্যামন্দিরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভবনের গঙ্গাবক্স কানোরিয়া বিদ্যামন্দিরের মাধ্যমিক শাখা গত ২২শে ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, সকাল ১০:৩০ টা থেকে তাদের স্কুলের মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।

সেখানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অসীম কুমার ব্যানার্জি, কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি শ্রীমতি রুমা রায়, প্রাক্তন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, কোচ, এবং সাই-এর চিফ আর্চারি কোচ এবং বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্রী প্রণব নন্দী।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস দিনটিকে আরও উজ্জ্বল ও প্রফুল্ল করে তুলেছিল। প্রধান অতিথিদের সংবর্ধনা দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়। বিশিষ্ট অতিথিরা তাদের বক্তব্যে খেলাধুলার গুরুত্ব, দলগত মনোভাব এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যের পর স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।

হোয়াইট হাউসের সদস্যরা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যান। এবং তারপরে বিদ্যালয়ের নিজস্ব সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রতি গর্ব ও ভালোবাসা প্রতিটি শিক্ষার্থীর মুখেই ফুটে ওঠে।
শীঘ্রই স্কুল এনসিসি গ্রুপের চারটি হাউসের মার্চপাস্ট শুরু হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন স্কুলের হোয়াইট হাউসের সদস্যরা এবং সাথে ছিল স্কুলের পাইপ ব্যান্ড।

এরপর বিদ্যালয়ের বিদায়ী ব্যাচের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়। মশাল প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের পর অংশগ্রহণকারীরা নিয়ম-কানুন মেনে চলার এবং সুষ্ঠুভাবে খেলার চেতনায় অংশগ্রহণ করার অঙ্গীকার করেন। এরপর অধ্যক্ষ শ্রী অরুণ কুমার দাশগুপ্ত ক্রীড়া সভার উদ্বোধন করেন।

ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন ছাত্র জিমন্যাস্টিকসের একটি চমৎকার 'জ-ড্রপিং' প্রদর্শনী উপস্থাপন করে। তারপরে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রদের দ্বারা একটি বর্ণাঢ্য এবং বাদ্যযন্ত্রসহ ড্রিল উপস্থাপনা করা হয়। ছেলেরা ড্রামের সাথে একটি ডাম্বেল ড্রিল উপস্থাপন করে। সেখানে দেখা যায় যে মেয়েরা তাদের হাতে রঙিন পতাকা নিয়ে মাঠ জুড়ে দৌড়ানোর সময় স্কুলের মাঠটিকে রঙে ভরিয়ে দেয়। এটির সৌন্দর্য ফুটে ওঠে নীল আকাশে।

এরপর বেশ কয়েকটি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্ট হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা তাতে প্রাণ দিয়ে অংশগ্রহণ করে। প্রতি হাউসের সদস্যদের নিজ নিজ হাউসের জন্য চিয়ারআপে মাঠ মুখরিত হয়ে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত, অভিভাবক, শিক্ষক, অফিসের কর্মচারী এবং প্রাক্তন ছাত্ররা সবাই ১৫ মিটার এবং ৭৫ মিটার দৌড়ে অংশ নেন।