নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফর নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে আরজিকর কান্ডের প্রেক্ষিতে। নির্যাতিতার বাবা-মা অপেক্ষা করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং ঘটনার ব্যাপারে তাদের সহায়তা করবেন। কিন্তু অমিত শাহ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি এবং আরজিকর ঘটনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে, কেন্দ্রের মন্ত্রীর কাছ থেকে বিচার পাওয়ার আশা কতটা বাস্তবসম্মত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের এই ধরনের অগোচর থাকা রাজনৈতিক চর্চার জন্য উদ্বেগজনক। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে কেন্দ্রের মনোভাবের ওপর প্রশ্ন তুলে।
আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতার পরিবার যেভাবে সরকারের কাছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেছিল, তা অমিত শাহের এই অগ্রাহ্যতা থেকে তাদের হতাশ করেছে। এটি দেখায় যে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো রাজ্যের সমস্যার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করছে, যা জনগণের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।
রাজনৈতিক বিরোধীরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে, দাবি করছে যে তারা এই ধরনের ঘটনার মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়াতে পারে এবং এটি জনগণের মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।