নিজস্ব সংবাদদাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের মাথায় সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যসচিব উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে কার্যত হতাশ সিনিয়র চিকিৎসকরা।
সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "সরকারের তরফে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। সরকার ভাসা ভাসা প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। সরকার পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল, তাও কোনও প্রস্তুতি ছাড়াও বৈঠক। স্বাস্থ্য সচিবকে ছাড়া কেন বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব। হাসপাতালগুলিতে দুর্নীতি-চক্রের কথা জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে সমস্যা সমাধানের কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি।"
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মানার ক্ষেত্রে কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না বলে বার বার বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগকে আরও তীব্র করে দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধ করতে বার বার প্রশাসনের তরফে সিনিয়র চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে দেখা গেল, রানি রাসমণি রোডে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি খালি বাস। কিন্তু খালি বাস এভাবে কেন রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, এই নিয়ে কোনও উত্তর প্রশাসনের কাছে নেই। সাধারণ মানুষ এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তবে কি দ্রোহের কার্নিভাল রুখতেই পুলিশ এই কৌশল অবলম্বন করেছে। বাস দিয়ে এমনভাবে ঘিরে রাখা হয়েছে, যাতে সেখানে কিছুই প্রবেশ করতে না পারে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মূল সড়ক ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলি ঠিক যে জায়গায় হয়, সেই রাস্তা ধরেই দূরপাল্লার খালি বাসগুলি দাঁড়িয়ে আছে। ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, দ্রোহের কার্নিভাল রুখতেই পুলিশ এই ব্যবস্থা নিয়েছে। ষষ্ঠীর দিন চিকিৎসকদের ‘পরিক্রমা’ আটকানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সে দিন ধর্মতলায় বাস ও ট্যাঙ্কারের চাবি নিয়ে রাস্তা আটকে রাখার অভিযোগও ওঠে। অনেকেই বলছেন, এটা কলকাতা পুলিশের একটি পুরনো কৌশল।