নিজস্ব প্রতিবেদন : টালা থানায় ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে CBI নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে সংস্থা দাবি করেছে যে, তথ্য-প্রমাণ লোপাটে ভুয়ো নথি তৈরি করা হয়েছে। CC ফুটেজে কিছু রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে। ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় CBI উল্লেখ করেছে যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য যুক্ত বা বদল করার অভিযোগ রয়েছে। জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ আদালতে সিবিআই যে রিমান্ড জমা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। তারা অভিযোগ করছে, থানার মধ্যেই মিথ্যা রেকর্ড তৈরি বা বদল করা হয়েছে। সিএইসএল রিপোর্ট আসার পর টালা থানার ফুটেজ নিয়ে আরও জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সিবিআই আরও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন কিছু নম্বরের মাধ্যমে এই দুই জনের মোবাইল ফোনের সম্পূর্ণ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কথোপকথনের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে, যা তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিয়ালদা কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তাদের হাতে জাদুকাঠি নেই, তবে তারা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছেন এবং কিছু ডিজিটাল নমুনা পেয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতির আশা ব্যক্ত করেছেন।
অন্যদিকে, ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিনের আবেদনে দাবি করেন, তিনি 'অন ডিউটি' ছিলেন এবং সাক্ষী হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন। একইভাবে, আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষও অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দাবি করেছেন, বলছেন যে টালা থানার ওসিকে ফোন করা তার দায়িত্ব। সিবিআই নতুন কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি বলে তিনি জানান।