নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ আর জি কর মামলায় সুপ্রিম শুনানি শেষে ফের কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পাশাপাশি সরকারি পক্ষের আইনজীবীকেও করা হয়েছে বিশেষ কিছু প্রশ্ন।
/anm-bengali/media/media_files/7x9LPb9I614nkF9FFQ5S.jpg)
ঠিক তারপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপি বিনীত গোয়েলের স্থলাভিষিক্ত কাউকে করতে অস্বীকার করেছেন কারণ তিনি আশঙ্কা করছেন যে গোয়েল তাকে এবং তার দলের অন্যান্যদের যারা আর জি কর হরর ঘটনায় জড়িত তাদের উন্মোচন করে দেবেন। এটা তার হতাশা ও দুর্নীতির স্পষ্ট লক্ষণ। মমতা অপরাধীদের রক্ষা করতে এবং গুরুতর মামলাগুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তার দলের ভূমিকা সম্পর্কে সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন।
/anm-bengali/media/media_files/U9XiJ3tacIwL3JLDG35m.jpg)
সিপি গোয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তার অনিচ্ছা শুধুমাত্র তার পুরো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার ইচ্ছা এবং তার সম্পূর্ণ লজ্জার অভাব প্রদর্শন করে। তৃণমূলের প্রশাসন একটি প্রহসন, যা পদ্ধতিগত ব্যর্থতা এবং দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। দলের দুর্বল প্রশাসন এবং অন্যায় ঢাকতে মমতার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা ক্ষমতার চরম অপব্যবহারকে প্রতিফলিত করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপি বিনিত গোয়েলকে রক্ষা করার আপনার প্রচেষ্টা একটি অপমানজনক। আপনার দলে ঘটে যাওয়া অপরাধের দায় নিতে আপনার অস্বীকৃতি শুধুমাত্র ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রতি আপনার সম্পূর্ণ অবজ্ঞাকে প্রদর্শন করে। আর কতদিন অপরাধীদের ঢাল করে আইনের শাসন নষ্ট করতে থাকবেন?
/anm-bengali/media/media_files/geBApClxUttsjjM6EZ26.jpg)
এর আগেই দেখা গেছে জুনিয়র ডাক্তাররা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছেন। তাদের রাস্তায় থাকতে হয়েছিল প্রায় ২৩ ঘন্টা। ঠিক তারপরেই পুলিশ তাদের অনুমতি দেয় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে। এরপর তারা মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ কমিশনারের হাতে ডেপুটেশন জমা দেন তার পদত্যাগের দাবিকে কেন্দ্র করে। একটি প্রতীকী শিরদাঁড়া রেখে আসেন তার টেবিলে।