সাধারণ মনুষের জীবন কি সস্তার? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার

পঞ্চায়েত নির্বাচনের তপ্ত আবহে সুর চড়ালেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সাধারণ মনুষের জীবন কি সস্তার?

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
11234

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : নিরাপত্তা ইস্যুতে এবার শাসক দল তথা তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কর্মসূচি শুরু করেছিল তৃণমূল, সেই নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষার্থে মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যেও রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রেখেছিল । পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু যেভাবে ব্যাপক আকার ধারণ করছে অশান্তির ঘটনা তাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে আসছে কেন্দ্রীয় কেম্পানি। রাজ্যের তরফে স্পর্শকাতর এলাকায় শুধু বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলা হলেও আদতে প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালতের তরফে। এই প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যুইটারে  ট্য়াগ করে সরাসরি বিজেপি নেত্রী লিখেছেন, ''যুবরাজকে রক্ষা করার জন্য তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রায় ২০০০ রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।  ২২০০সিআরপিএফ জওয়ান গণতন্ত্র বাঁচাতে এবং সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে মোতায়েন করা হয়েছে।'' এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অগ্নিমিত্রা প্রশ্ন করেছেন, ''একজন সাধারণ মানুষের জীবন কি সস্তা? কি উত্তর দেবেন আপনি?'' রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও ট্যাগ করেছেন ট্যুইটটি। 


প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই পঞ্চায়েত  নির্বাচনের আবহে রক্ত ঝরার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। একাধিকবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ইস্যুতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজভবনে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকাও। প্রথম থেকেই পুলিশে আস্থা ছিল না বিরোধী দলের। এরপর আদালতের নির্দেশে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখন দেখার পঞ্চায়েত ভোট আদতে কতটা হিংসা মুক্ত হয়। উল্লেখ যোগ্য ভাবে নমিনেশনে বাধা দান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেছে সুকান্ত মজুমদার। এমনকি, নমিনেশনে বাধা প্রাপ্ত ও অত্যাচারিত ৩০ জন বিজেপি প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে নালিশও জনিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজ্যে হিংসা মোকাবিলায় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। ভোটের দিন কি হবে? সাধারণ মানুষ কি নির্ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বুথ পর্যন্ত যেতে পারবে ভোট দিতে? উঠছে প্রশ্ন।