নিজস্ব সংবাদদাতা: কোনও কারণ না দেখিয়েই চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে আটক করেছিল পুলিশ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়দান থানায়। সেখানেই তাঁকে আটকে রাখা হয় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। ময়দান থানার পুলিশ তাঁকে মুক্তি দেওয়ার পরেই চিকিৎসক তপোব্রত রায় ধর্মতলার অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন।
তপোব্রত রায়কে প্রায় তিনটে নাগাদ ময়দান থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তপোব্রত রায় কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক। তিনি পুজো কার্নিভালে যাচ্ছিলেন এমারজেন্সি বিভাগে কাজ করতে। কিন্তু কেন তাঁকে আটক করা হয়, কোন থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয় না। খবর পাওয়ার পরেই চিকিৎসকরা ময়দান থানার সামনে হাজির হয়। অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা কঠোর বার্তা পাঠান।
জানা যায়, পুজো কার্নিভালের মেডিক্যাল টিমে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তপোব্রত রায়। তিনি কাজে যোগ দিতে রেড রোডে যাচ্ছিলেন। তার আগে পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। তাঁর সঙ্গে থাকা ফার্স্ট এইডের বাক্সটি খুলে দেখেন। তারপরেই কোনও কথা না বলে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। কেন তোলা হল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এই বিষয়ে তাঁকে পুলিশের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয় না। জানা যায়, শিরদাঁড়া বিক্রি নেই লেখা ছিল টি তাঁর শার্টে। অনশনকারীদের সমর্থন জানিয়ে তিনি ব্যাজ পরেছিলেন। আর তারপরই ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ময়দান থানার সামনে জনতা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা দাবি করতে থাকে ঘটনার জন্য ময়দানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কোনও ক্ষমা চাইবে না। শুধু তাই নয়, বলা হয়েছে, জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার পর্যাপ্ত ফোর্স তাদের কাছে রয়েছে।