নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের বায়ো টয়লেট বসানোর ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক হয়েছে। সকালে জুনিয়র চিকিৎসকরা দু'টি বায়ো টয়লেট আনেন এবং অনশন মঞ্চের পাশে স্থাপন করেন। তবে পুলিশ জানায়, ধর্মতলা গ্রিন জোন হওয়ায় এখানে টয়লেট বসানো বৈধ নয় এবং ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় থানার অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি না মেলায় টয়লেট বসানো হলেও তা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি, ফলে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক চলেছে।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন যে, পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেছেন, কারণ উপরের মহল থেকে নির্দেশ আসেনি। টয়লেটগুলি আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে না, কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গতকালই এক আন্দোলনকারী টয়লেটে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে, আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের প্রতি পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনে পুলিশি বাধার অভিযোগও উঠেছে, যেখানে বায়ো টয়লেট ঢুকতে বাধা এবং ডেকরেটর্সের গাড়িও ফেরত দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের সমর্থনে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডাক্টর্স রিলে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমরণ অনশনে রয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা, যারা আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি আদায়ে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বসেছেন। শনিবার রাত থেকে ৪টি মেডিক্যাল কলেজের ৬ জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে রয়েছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বায়ো টয়লেট বসাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং ডেকরেটরদের গাড়িও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবুও, আন্দোলনকারীরা সকালে নিজেদের উদ্যোগে বায়ো টয়লেট প্রস্তুত করেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার লক্ষ্যে তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন।