নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব মিটে গিয়েছে, রেজাল্টও প্রকাশিত তাও যেন শেষ হচ্ছে না অশান্তি আর অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলা। একের পর এক মামলা জমেছে হাইকোর্টে। আরো এক মামলায় বিডিওকে তিরস্কার বিচারপতির।
পুরুলিয়ায় ঝালদা-১ ব্লকে পঞ্চায়েত প্রার্থী তৃণমূলের রাজেশ মণ্ডলের কাছে পরাজিত হন কংগ্রেস প্রার্থী তেজেন্দ্রনাথ মাহাতো। এরপর তিনি বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের।প্রার্থীর উপস্থিতি ছাড়াই গণনার অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে প্রথমে ১৬২টা ব্যালট পেপার বাতিল হয়েছিল।ওখানে পুনর্গণনা হয়। সেই সময় ১৬২র বদলে ৩১৯টি ব্যালট পেপার বাতিল হয়। কীভাবে তা সম্ভব তা জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন মামলার শুনানিতেই পুরুলিয়ার ঝালদা-১ ব্লকের বিডিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের রিপোর্ট আদালতে জমা করলেন। বিডিওকে তিরস্কার করেন বিচারপতি। ওখানে কি পুনর্গণনার নামে ছেলেখেলা চলছিল? জানতে চান। কার নির্দেশে পুনর্গণনা? কে দিল গণনার সময় তাও জানতে চান বিডিওর কাছে। ভুলের পর ভুল হলে নির্বাচনের কী প্রয়োজন সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। কমিশনের কাছেও রিপোর্ট তলব করে আদালত। জানা যায়, শুরুতে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকার জন্য ১২৭টি ব্যালট বাতিল হয়। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ৩১৯টি। প্রথমে কংগ্রেস জিতে গেলেও পরে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী।যাবতীয় ফুটেজ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে থাকবে বলে নির্দেশ আদালতের। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ অগাস্টের পরে।