নিজস্ব সংবাদদাতা: শুরুর আগেই বাধার মুখে পড়ল জুনিয়র চিকিৎসকদের অভয়া পরিক্রমা। বাধা সৃষ্টি করলো পুলিশ। এমনই অবস্থা যে ম্যাটাডোরের চাবি খুলে নিল পুলিশ। ফলে শুরুর মুখেই উত্তেজনা ছড়ালো ধর্মতলা চত্বরে।
এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছু পর থেকেই অভয়া পরিক্রমার প্রস্তুতি শুরু হয়। তাঁর জন্য বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসক পড়ুয়ারা ম্যাটাডোরে করে ধর্মতলার দিকে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু চাঁদনি চকের কাছে সেই ম্যাটাডোর গুলি আটকে দেয় পুলিশ। বলে ম্যাটাডোর নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। তখন চিকিৎসকেরা জানতে চায় কোথায় এই নির্দেশ লেখা রয়েছে সেটা দেখান। কেননা দুপুর সাড়ে ১২টার রিটার্ন মেইলে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ম্যাটাডোরে ব্যান্ড, মাইক বাজানো যাবে না, আর হোর্ডিং টাঙানো যাবে না। পুলিশের সেই দাবি মেনে নেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেখানে ম্যাটাডোরের কথা উল্লেখ ছিল না। তাহলে এই নতুন নিয়ম কি করে তৈরি হয়, এমনটাই জানতে চান ডাক্তাররা।
কিন্তু পুলিশ কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ম্যাটাডোরের চাবি খুলে নেই। আর তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অনেক চিকিৎসকই তাঁদের ধৈর্য্যের বাঁধ হারান। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন মহিলা পুলিশ কর্মীরা সামনে এসে হিউমেন চেন করে দাঁড়িয়ে যান, ম্যাটাডোর যেতে বাধা দেন। সেই সময় মহিলা চিকিৎসক বনাম মহিলা পুলিশ সংঘর্ষ বাধে। আহত হন বেশ কিছু মহিলা পুলিশ কর্মী। একজনকে দেখা পর্যন্ত যায় হাতের যন্ত্রণায় ছটফট করতে। এরপরই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাতে কাপড় বেঁধে দেন চিকিৎসকেরায়।
এই সবের মাঝে পুলিশকে রুখে দেন আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয়রা। পুলিশের হিউমেন চেন ভেঙে স্থানীয় মানুষদের হিউমেন চেনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে নেন তিন ম্যাটাডোরকে। পুলিশি বাধা কার্যত নস্যাৎ করে তিনটি ম্যাটাডোর নিয়ে ধর্মতলার দিকে এগিয়ে যান চিকিৎসক সহ স্থানীয় মানুষজন। মহাষষ্ঠীতে এই ছবিও কম বিরল নয়।