নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, রিপোর্ট দিয়ে জানালো রাজ্য। এটা ‘ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি’, মন্তব্য বিচারপতির। বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের। অবিলম্বে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
সমীক্ষা শুরু হতেই জেলায় জেলায় আবাস যোজনার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ সামনে আসছে। সম্প্রতি হুগলীর গোঘাটে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। আবাস যোজনার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে বীরভূমের রামপুরহাটেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। আর সেরকমই ঘটনা ঘটেছে ক্যানিং-এ।
ওই ৫ জনের দাবি, তারা বছর দুয়েক আগেই টাকা না পাওয়ার বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছিলেন। তাতে পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তারা আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার যোগ্য নয়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তারা। আর তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে গিয়েই জানা যায়, যে ওঁদের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। আর এবার সেই মামলাতেই বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর এর পর্যবেক্ষণে ভর্তসনার মুখে পড়লো রাজ্য সরকার।