নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার চিৎপুরের রাস্তায় যুবককে ধারাল অস্ত্রের কোপ। ঘটনায় যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই যুবকের মৃত্যু হয়। চিৎপুরে প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল চিৎপুরের কৃষ্ণলাল দাস রোডের স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল পৌনে নটা নাগাদ দুই যুবকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এই বচসা চলাকালীন একজন অন্য যুবকের ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ বসায়। গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার পরেই লুটিয়ে পড়েন অন্যজন। স্থানীয়রা ওই যুবককে দ্রুত আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত পলাতক বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কী কারণে যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হল, তা জানা যায়নি।
কয়েকদিন আগেই মানিকতলায় এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, অভিযুক্ত অনিল রজক মুরারিপুকুরের একটি গ্যারাজে কাজ করতেন। সেখানে অভিযুক্তরা মদ, জুয়ার আসর বসাতেন। অনিল এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। ঘটনার পাঁচ দিন পর চার অভিযুক্তকে পুলিশ তারাপীঠের একটি লজ থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে তারাপীঠ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে এক ব্য়ক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে। যদিও পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। দাবি করা হয়েছে, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত দিতে এসে অসুস্থ পড়েন ওই ব্যক্তি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।