সোমবার হাইকোর্টে 'পঞ্চায়েত নির্বাচন'!

নিজস্ব সংবাদদাতা: পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে একগুচ্ছ মামলা নিয়ে একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু দিন দিন পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ক্রমেই যেন বেড়েই চলেছে। হাইকোর্টের সোমবারের শুনানির তালিকায় রয়েছে কমপক্ষে ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলা। এর মধ্যে অনেক জনস্বার্থ মামলাও তালিকাভুক্ত আছে। আবার তালিকার বাইরেও কয়েকটি মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। আইনজীবীদের একাংশ ধারণা করছেন যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকে এত দিন পর্যন্ত মামলার সংখ্যা অনায়াসে শতাধিক পার করে গেছে। তবে এক দিনে পঞ্চায়েতের ৭৩টি মামলা শুনানির তালিকায় রয়েছে এমনটা এর আগে দেখা যায়নি।

রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সোমবারের দিনটি হাইকোর্টে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ছুটির দিন বাদ দিয়ে উচ্চ আদালতের প্রতি দিন মামলার তালিকা থাকে। ওই তালিকা থেকেই নির্ধারিত হয় কোন মামলা কখন শুনানি করা হতে পারে। হাইকোর্টের সোমবারের তালিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটের অন্তত ৭৩টি মামলা শুনানির তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের যৌথ বেঞ্চে রয়েছে প্রায় ২৬টি জনস্বার্থ মামলা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলাগুলির শুনানি হবে। শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ অনেকের করা পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, অশান্তি, কারচুপির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি করা হবে। গত শুনানিতে এই মামলাতেই হাইকোর্ট জানায় যে আদালতের নির্দেশের উপরেই জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যত্‍ নির্ভর করছে। সোমবার পঞ্চায়েত ভোটে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের মামলাটিরও শুনানি করা হবে। এই মামলাটি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ভোটের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগের একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে। ওই দিন শুনানির তালিকায় রয়েছে রাজ্যে আরও এক মাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আবেদনও।

প্রধান বিচারপতির এজলাস ছাড়া বিচারপতি অমৃতা সিংহের একক বেঞ্চে প্রায় ২৮টি মামলা আছে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার উদ্ধার হওয়া, ভুয়ো ব্যালট, ভোট বাতিল, ছাপ্পা ভোট, জয়ী প্রার্থী কে তা নিয়ে বিতর্ক, ভোটের শংসাপত্রসহ মামলাগুলির শুনানি করা হবে। বিচারপতি সিংহের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে তিনটি মামলার শুনানি হবে। সোমবার শুনানির তালিকায় প্রায় ১৬টি মামলা রয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা, বিরোধীদের উপর অত্যাচার, বিরোধী প্রার্থীদের প্রতি পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ, নিরাপত্তার আবেদনগুলির শুনানি হবে।