নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আরজি করের ঘটনার এক মাস অতিক্রান্ত। এবার এই এক মাস পরেই মিলল এক নয়া তথ্য। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে মিলেছে এক এক্সেল শিট। জানা গিয়েছে যে, এই শিটেই রয়েছে বিশাল পরিমাণ টাকার হিসেব। তল্লাশি অভিযানে প্রচুর নথি উদ্ধারের পাশপাশি প্রসূন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে এবং শ্যালিকার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই বাড়িতেই উদ্ধার করা হয়েছে এই ল্যাপটপ। এই ল্যাপটপটিকে সন্দীপ ঘোষের এক আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটিকে খুঁজে তার তল্লাশি করা হচ্ছে। ইডি মনে করছে যে, এই ল্যাপটপেই রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা সন্দীপ রায়ের অনৈতিক কাজকর্মের সব রকম সূত্রের চাবিকাঠি হতে পারে।
আরও জানা গিয়েছে যে, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেবও। কোনও প্রমাণ মুছে ফেলা দেখা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি দাবী করেছে যে, তারা বেশ কিছু ডিজিটাল নথি পেয়েছে। এছাড়া, উল্লেখ্য যে, সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা সামনে আসার পরেই প্রাক্তন অধ্যক্ষের নানা অনৈতিক কাজকর্মের তালিকা সামনে এসেছে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। তার সাথেই সিবিআইয়ের হেফাজতে আছেন আরও তিনজন। আরজি কর কাণ্ডের দৌলতে এবার সামনে এসেছে হাসপাতালের মধ্যে ঘটে চলা নানা দুর্নীতির তথ্য। বেআইনি ওষুধ বিক্রি থেকে শুরু করে মর্গে শবদেহের বেআইনি লেনদেনসহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতির তথ্য।
এ ক্ষেত্রে আরও উল্লেখ্য যে, রাজ্য বিধানসভায় কয়েকদিন আগেই পেশ হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী বিল। এই বিলকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলিই। আরও উল্লেখ্য যে, দেশ জুড়ে আজ আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ থেকে নেতামন্ত্রী সকলেই ধিক্কার জানিয়েছেন।
বলা বাহুল্য যে, এই ঘটনা সারা দেশ তো বটেই বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মনেও ক্ষোভের আগুন জ্বেলে দিয়েছে।