নিজস্ব প্রতিবেদন : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-অধ্যাপকদের গণ ইস্তফার সিদ্ধান্তের পেছনে একটি বড় প্রতিবাদমূলক আন্দোলন চলছে। কিঞ্জল নন্দ এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট করেছেন যে, কলেজের অধ্যক্ষকে নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা হতে পারে। জুনিয়র ডাক্তাররা সিনিয়র ফ্যাকাল্টিদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন যে, তারা "থ্রেট কালচার" তথা আতঙ্কের পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং একটি স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরি করা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসছেন, যা তাঁদের ক্ষোভ এবং উদ্বেগের প্রতিফলন। তাঁরা বলছেন, গত সাড়ে ৩ বছরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পরিবেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, যা চিকিৎসার গুণমান ও রোগীদের সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক-চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন যে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা না হলে গণ ইস্তফার পথে যেতে হবে। তাঁদের দাবি, প্রশাসনিক প্রধানদের আরও সংবেদনশীল হতে হবে এবং রোগী সেবার ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব ভুলে যেতে পারবে না। তাঁরা মনে করছেন যে, চিকিৎসা সেবা শুধু চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মচারীদের নয়, বরং সরকারেরও দায়িত্ব। তাঁদের অভিমত, অভয়ার মতো ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।