প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ কোটির দুর্নীতি, বেরিয়ে এল চমকে দেওয়ার মত নয়া তথ্য

সিবিআইয়ের হাতে এল নয়া তথ্য।

author-image
Adrita
New Update
h

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তের সময়ে এবার তাদের হাতে উঠে এসেছে এক চমকে দেওয়ার মত তথ্য। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, আর জি করে প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ কোটির দুর্নীতি চলত। আরও জানা গিয়েছে যে,  খাট, ওষুধ থেকে অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে হত কারাবার। হাসপাতালের জন্য কেনা রসিদে থাকত ভুয়ো তথ্য। 

জানা গিয়েছে যে, হাসপাতালের একটি খাটের দাম ৩০-৪০ হাজার টাকা। কিন্তু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সেই দাম হয়ে যেত  ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও, অস্ত্রোপচার কক্ষে ব্যবহৃত বিশেষ প্রযুক্তি বিশিষ্ট খাটের দাম হত আড়াই তিন লক্ষ টাকা। যদি কখনও কোন খাট ভেঙে যেত বা খারাপ হয়ে যেত, তাহলে সেই পুরোনো খাটকেই মেরামত করিয়ে নেওয়া হত। কিন্তু রসিদে দেখানো হত যে নতুন খাট কেনা হয়েছে। এভাবেই দিনের পর দিন ধরে চলত বিশাল পরিমাণ টাকার আর্থিক লেনদেন এবং দুর্নীতি। 

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, শুধু খাটই নয়, অস্ত্রপচারের সামগ্রী, ওষুধ, স্যালাইন এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিসের মধ্যে দিয়েও চলত কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ছিল এই সব কিছুর মূল চক্রী। তাকে এই কাজে সাহায্য করত  বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরা। খাটের মত ওষুধের রসিদেও ভুল তথ্য লেখা থাকত বলে জানা গিয়েছে। রসিদে দেখানো হত ওষুধ কেনা হয়েছে, কিন্তু আসলে ওষুধ কেনা হত না। অর্থাৎ, খাতায় কলমে ভুয়ো রসিদ দেখানো হত।