WEST BENGAL: কতদিনের বকেয়া DA দিচ্ছে মমতা সরকার?

নিজেদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে চলেছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। সেই মামলা গিয়ে পৌঁছেছে এখন সুপ্রিম কোর্টে। ঠিক কতটা ভাতা পাবেন কর্মীরা?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
moneyc

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আগামী ৩ নভেম্বর সেই মামলার পরবর্তী শুনানির করা হবে বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনুমান, যেহেতু মহার্ঘ ভাতা মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে, তাই কয়েকদিন ধরে এবার সেই মামলা চলতে পারে। অর্থাৎ ৩ নভেম্বর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলে ধারণা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।

কিন্তু কতদিনের ডিএ বকেয়া আছে সেটা কি জানেন? বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা জানতে চাইছেন যে রোপা-৯ অনুযায়ী বকেয়া ডিএ কবে থেকে কখন পর্যন্ত পাওয়া যাবে। জানা গেছে যে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিলবে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ছয় শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। শীঘ্রই সেটা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ শতাংশ হয়ে যেতে পারে বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই ভাতা সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা জারি রয়েছে আদালতে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট), কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে সেই মামলা। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়ে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

যে মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছে রাজ্য সরকার, তা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। ২০২২ সালের ২০ মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। একেবারে শেষলগ্নে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। অবশেষে সেটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারই মধ্যে নির্দিষ্ট সময় মতো মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে না দেওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। সেই মামলায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা দায়ের করতে হয়। তাতে রাজ্য জানায় যে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।