নিজস্ব সংবাদদাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র র মৃত্যুর ঘটনার দিন রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের তরফে রুজু করা ওই মামলায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন পড়ুয়ার জামিনে অনুমোদন দিল আদালত। জামিনপ্রাপ্তরা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষ এবং দুই সিনিয়র দীপশেখর দত্ত এবং মনতোষ ঘোষ। তবে জেলমুক্তি হবে শুধু জয়দীপের।
পুলিশ জানিয়েছে যে দীপশেখর দত্ত এবং মনতোষ ঘোষের বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছে ছাত্র খুনের মামলাও। তাই পুলিশকে বাধা দেওয়ার মামলায় জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে মুক্তি ঘটবে না তাঁদের। আদালতে ওই তিন ছাত্রের তরফে আইনজীবীরা দাবি করেন যে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ আনেনি। এমনকী সেই রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ ওঠে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বস্তুত, ৯ অগস্ট রাতে ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কেন ৩ দিন পর এফআইআর দাখিল করল, সেই প্রশ্নও এদিন তোলেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। এরপর নাকি এই বিষয়ে আদালতের কাছে কোনও সদুত্তর দেননি সরকারি আইনজীবী। তাই পুলিশকে বাধা দানের মামলায় তিন ছাত্রের জামিন দেন বিচারক। তবে জয়দীপ ছাড়া বাকি দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ছাত্র খুনের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যও হাতে এসেছে। ফলে পুলিশকে বাধা দানের মামলায় জামিন পেলেও দীপশেখর দত্ত এবং মনতোষ ঘোষ এখনই ছাড়া পাচ্ছে না।
গত ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুরের হস্টেল থেকে পড়ে মারা যায় ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেন নিহত ছাত্রের বাবা। উঠে আসে Ragging- এর অভিযোগও। তদন্ত করতে নেমে পুলিশ একাধিক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে। ঘটনার তিনদিন পর পুলিশের তরফে যাদবপুরের হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়। পুলিশের দাবি, সেই রাতে হস্টেলের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও পুলিশকে গেটের ভেতরেই নাকি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই মামলাতেই তিন পড়ুয়াকে এদিন জামিন দেয় আদালত। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় মৃত ছাত্রের হস্টেলের ঘর থেকে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছিল যা ধৃত এক পড়ুয়া দীপশেখর দত্তেরই লেখা বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছিল সে নিজে। চিঠিটির শেষে মৃত পড়ুয়ার নামে ২ টি সই কেন, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।