নিজস্ব সংবাদদাতা: এমনটা যে হতে পারে সেটা অনুমান করা হয়েছিল যে ঘোষণা করা হবে ২০২৩-২৪ রাজ্য বাজেটে। কিন্তু তখন হয়নি। বরঞ্চ ঘোষণা করা হল একুশের মঞ্চ থেকে। সেই ঘোষণা করলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন এবার বাংলায় চালু হতে চলেছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প 'খেলা হবে'।
একুশের ভোটে 'খেলা হবে' শ্লোগানকে হাতিয়ার বানিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে নেমে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই শ্লোগানকেই বেছে নেওয়া হল রাজ্য সরকারের নিজস্ব ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নামকরণের ক্ষেত্রে। এই নাম শুধু যে বিজেপির কাছে তাই নয়, রাজ্যের সব তৃণমূল বিরোধীদের কাছেই বড়সড় অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠবে আবার। অভিযোগ ছিল যে কেন্দ্র সরকার প্রায় ২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। এই টাকা ছাড়তে বাংলার আধিকারিকেরা যেমন বহুবার কেন্দ্র সরকারকে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন, তেমনি খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই টাকা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও বাংলার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জবকার্ড হোল্ডারদের প্রাপ্য টাকা দেয়নি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই রাজনৈতিকভাবেই বিজেপি ও মোদি সরকারকে বারবার নানা মঞ্চে আক্রমণ করে এসেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার মাটিতে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ হিসাবে বিশিষ্ট মহল সেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা না দেওয়াকেই অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে। এদিন সেই প্রেক্ষাপটে একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ঘোষণা করে দেন, '১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের কাজ বছরে ৪০ দিন হয়। কিন্তু এখানে সেই কাজ অনেকদিন বেশি হয়েছে। কেন্দ্র টাকা দেবে না বলে তো আর বাংলার মানুষেরা কাজ পবে না এমন তো নয়। বাংলা এবার নিজের ১০০ দিনের প্রকল্প চালু করবে। তার টাকাও জোগাড় করা হয়েছে। বাংলায় কর্ম সৃষ্টির নতুন প্রকল্পের নাম হবে খেলা হবে'।
একুশের সভা থেকে মমতা বলেন, 'এবার বাংলার সরকারের টাকাতেই যাতে ১০০ দিনের কাজ হয়, সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত কেন্দ্র টাকা না দেবে, ততদিন পর্যন্ত জব কার্ড হোল্ডারদের সেই কাজ দেওয়া হবে। চারদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এখান থেকে বসে বলবে, বাংলাকে ভাতে মারো। বাংলাকে ভাতে মারা যাবে না, বাংলা অনেক শক্তিশালী। বাংলায় এত প্রকল্প। প্রায় ৬৭টি মতো। আর কোনও রাজ্যে নেই। বিশ্বে নেই। সামাজিক সুরক্ষায় আমরা প্রথমে'।