নিজস্ব সংবাদদাতা : পুরীতে ধুমধামের সহিত পালিত হয় রথযাত্রা। পুরীর রথযাত্রা বহু প্রাচীন। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ থেকে জানা যায় যে রথযাত্রার সূচনাকাল হল সত্যযুগ। যদিও সেই সময় ওড়িশা, ওড়িশা নামে পরিচিত ছিল না। রাজ্যের নাম ছিল মালব দেশ। রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম বিষ্ণু মন্দির নির্মাণের স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। রথ যাত্রা দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। দুটি ভাগে তিনটি করে মোট ৬ টি রথ বের হত। সেই যুগে রথযাত্রার রাস্তায় পড়ত বলাগুন্ডি নালা। তা পরা করার জন্য দেবতাদের মূর্তি মাঝপথে রথ থেকে নামিয়ে নালা পার করে নতুন রথে রাখা হত। এরপর রাজা কেশরী নরসিংহের আমলে এই নালা বন্ধ করা হয়। তারপর থেকে ৩ টি রথেই পুরীর রথযাত্রা সম্পন্ন হয়। পুরীর রথযাত্রার আনুমানিক বয়স সাতশো বছর। রথযাত্রায় রথে চড়ে মাসির বাড়ি যায় জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। মাসির বাড়িকে বলা হয় গুন্ডিচ মন্দির। এই গুন্ডিচ হলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুন্মের স্ত্রী। জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে ঝোনার ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা হয় রাস্তা। রাজবংশের সদস্যরাই রাস্তা পরিষ্কারের কাজটি করেন।