নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কি কৌশলগত বোঝাপড়া হয়ে গেছে? অন্তর্বর্তী সরকার কি ভারতে সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তানের কাছে পৌঁছেছে? গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারি অনুসারে, পাকিস্তানের ISI প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী এবং দেশের গোয়েন্দা সংস্থা DGFI-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের এজেন্সিগুলোর মধ্যে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। এএনএম নিউজ জানতে পেরেছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করা বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে।
একই সাথে সূত্র এও জানিয়েছে যে উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সাথে উগ্রপন্থী ও সক্রিয়দের নিরাপদ পথ এবং আশ্রয় দেওয়ার বিষয়েও পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের আলোচনা হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/24/AiLTL6bA5DhDrol13h7I.webp)
গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশী সামরিক কর্মকর্তারা জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ ও গোলাবারুদ সরবরাহের প্রতি চোখ বন্ধ করে রাখার মতো বেশ কয়েকটি গোপন অভিযান নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে ভয়াবহ মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং তারপর থেকে পরবর্তী সরকারগুলি সর্বদা পাকিস্তানের প্রতি শত্রুতা মনোভাবই পোষণ করে আসছে।
এমনকি ওই সময়, পাকিস্তান লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী নাগরিককে ধর্ষণ, হত্যা এবং নির্যাতন করেছে। ভারত লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশীকে আশ্রয় দিয়েছিল যারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লুটপাটের হাত থেকে পালিয়ে বেঁচেছিল সেই সময়। অবশেষে ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/24/ALbzPpIjna4VbX3xrDYo.jpg)
বর্তমানে এই অতীতকে ছাপিয়ে বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে পাকিস্তানের। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এতে জঙ্গিরা বাংলাদেশের বুকে অবাধে ঘুরে বেড়ায় কিনা, এখন সেটাই দেখার।