নিজস্ব সংবাদদাতা: নয় মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নাসার নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। তাঁদের যাত্রা ছিল মূলত একটি পরীক্ষামূলক মিশন, কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দীর্ঘ হয়ে যায় তাঁদের থাকার সময়। ৮ দিনের বদলে থাকতে হয় ৯ মাস।
মঙ্গলবার, স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুলে করে তাঁরা মেক্সিকো উপসাগরে নিরাপদে অবতরণ করেন। এটি ফ্লোরিডার টালাহাসি উপকূলে একটি স্প্ল্যাশডাউনের মাধ্যমে শেষ হয়। চারটি প্যারাসুটে করে ধীরে ধীরে জলে অবতরণ করানো হয় ড্রাগনকে। তারপর নৌ কমান্ডো এবং নাসার সদস্যরা ধীরে ধীরে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনেন চারজনকে।
/anm-bengali/media/media_files/vwCGmVbDSkXj4USCHqgD.webp)
তবে রাশিয়ার সয়ুজ মহাকাশযান মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় পৃথিবীতে ফিরে আসে, কিন্তু স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুল ১৭ ঘণ্টা সময় নিয়েছে ফিরতে। এতোটা সময়ের ফারাক কেন, তা জানতে চাইছেন অনেকেই। এর কারণ হল –
১) আইএসএস পৃথিবীর চারপাশে ২৮,০০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে আবর্তন করে, ফলে অবতরণের জন্য সঠিক কোণ খুঁজতে সময় লাগে।
২) মহাকাশযানটিকে সুনির্দিষ্টভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করানো হয় যাতে অতিরিক্ত তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩) মসৃণ ল্যান্ডিং নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে প্যারাসুট খোলা হয়।
৪) নাসা ও স্পেসএক্স সর্বোত্তম আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছিল।
মূলত, সএইব কারণের জন্যেই ১৭ ঘণ্টা সময় লাগলো তাঁদের অবতরণ করতে।