গাজায় ইজরায়েলের হামলার ১০০ দিন, চরম সতর্কবার্তা দিল WHO

১০০দিনে গাজায় ইজরায়েলের অভিযানকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রাজেডি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজায় স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারে ভেঙে পড়েছে। গাজার মানুষ নরকে বাস করছেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
gaza women.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস টুইট করে ইজরায়েলের নিন্দা করেন। তিনি টুইটারে লেখেন, "আজ আমরা একটি ট্র্যাজেডির ১০০ দিন পালন করছি। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি হামলা চালায়। ঘটনায় ১,৩০০ জন নিহত হন। বহু মানুষ আহত হন। বহু মানুষকে বন্দি করা হয়। তারমধ্যে ১৩০ জন এখনও বন্দি, অনেকের চিকিৎসার । পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলা চালায়। এই হামলার ফলে ২৪,০০০- এরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছেন। তারমধ্যে ৭০% নারী ও শিশু রয়েছেন। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা গুরুতর। স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর ৩০০ টিরও বেশি আক্রমণ করা হয়েছে। গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ১৫টি হাসপাতালে সীমিত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ধ্বংসের কারণে রোগীদের এড়ানো সম্ভব এমন অনেক ক্ষেত্রে অঙ্গচ্ছেদ করা হচ্ছে। গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অবস্থা যাঁদের, অনেকেই যত্নের অভাবে, ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছেন। ছোট জায়গায় গাদাগাদি করে থাকার কারণে দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।  রাষ্ট্রসংঘ , হু বা তাদের অংশীদাররা  ত্রাণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে। গাজার মানুষ নরকে বাস করছেন। কোথাও নিরাপদ নয়। অবিরাম নিরাপত্তাহীনতা এবং ভয় শব্দের সঙ্গে গাজার মানুষ ১০০ দিন কাটিয়েছেন। আরও কতদিন কাাতে হবে তার কোনও ঠিক নেই।  অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু এবং আঘাত ঠেকাতে হিংসা বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এখনই বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।"