নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্রোম দুনিয়ায় হতে চলেছে বিশাল বদল। মার্কিন মসনদে ট্রাম্প আসতেই এবার কোপ পড়তে চলেছে ক্রোম ব্রাউজারের ওপর। সোমবারই এমন একটি রিপোর্ট চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে।
সেই মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট জায়ান্টের উপর একটি বড় অ্যান্টিট্রাস্ট ক্র্যাকডাউনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন বিচারককে গুগল প্যারেন্ট কোম্পানি ‘অ্যালফাবেট’-কে তার বহুল ব্যবহৃত ‘ক্রোম ব্রাউজার’ বিক্রি করার জন্য অনুরোধ করেছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের সাথে অ্যান্টিট্রাস্ট কর্মকর্তারা এই বিষয়ে কথা বলেছেন বলেই জানা যাচ্ছে। এমনকি এও জানা যাচ্ছে, বুধবার আদালতে ক্রোম বিক্রি এবং গুগলের ব্যবসার অন্যান্য বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হবে অ্যান্টিট্রাস্টের পক্ষ থেকে।
এই প্রসঙ্গে মার্কিন সরকার একটি আদালতে কেস ফাইলিং-এর সময় বলেছে, যে তারা ‘কাঠামোগত’ পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্পগুলি বিবেচনা করছে, যা তাঁদের স্মার্টফোন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা এর ক্রোম ব্রাউজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করতে পারে।
এই বিষয়ে, ইন্ডাস্ট্রি ট্রেড গ্রুপ চেম্বার অফ প্রগ্রেসের প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম কোভাসেভিচ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, যে বিচার কর্মকর্তারা যা চান তা ‘অসাধারণ’ এবং আইনি মানকে অস্বীকার করে, পরিবর্তে সংকীর্ণভাবে উপযোগী প্রতিকারের আহ্বান জানায়। Google এর ভুল গুলিকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নির্ধারণ করাই হল একটি ল্যান্ডমার্ক।
এর আগে গত অগস্ট মাসে মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক অমিত মেহতা এই গুগল-এর বিরুদ্ধেই একটি একচেটিয়া রায় দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, গুগলের নিজস্ব চুক্তি ছাড়াও বেশ কিছু গোপনীয় চুক্তি থাকে, আর তা অন্যথা হলেই লেনদেনে খরচা অধিকাংশে বেড়ে যায়। ২০২০ সালে মার্কিন অনলাইন সার্চ মার্কেটের ৯০% নিয়ন্ত্রণ করেছিল গুগল। মোবাইলে ডিভাইসের ক্ষেত্রে এই শতাংশটা ছিল ৯৫%।
তবে এই সবই অনেক বেশি অর্থবহুল বলেই দাবি করা হয়েছিল বিচারক মেহতার রায়ে। আর এবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে যে গুগল উচ্চ আদালতে আপিল করবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তাঁর আগে ক্রোম-এর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে মার্কিন সরকারই।