নিজস্ব প্রতিবেদন : মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের আবহে আকাশে মিসাইল হামলার দৃশ্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমাগত আক্রমণ ও প্রত্যাঘাত চলছে। ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালাচ্ছে, এবং ইরানও কেবল হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের মুখে ইজরায়েলের 'আয়রন ডোম' সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নত মিসাইল-বিরোধী সিস্টেম পাঠানোর পাশাপাশি, এই প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার জন্য মার্কিন সেনাও পাঠাবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উল্লেখ করেছেন যে, "ইজরায়েলকে সবরকম হামলা থেকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ।" পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার জানান, এই নতুন অ্যান্টি মিসাইল প্রযুক্তির নাম 'টার্মিনাল হাই-অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স'।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকাচি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে। ইতিহাস বলছে, পৃথিবী দুই বিশ্বযুদ্ধের সময়ও সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। বর্তমান সময়েও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতসহ বিভিন্ন যুদ্ধ চলছে। এখন প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ কি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের পরিস্থিতিকে আরও সংকটজনক করে তুলবে? বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই উত্তেজনার আবহে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হতে পারে। সময়ের পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হবে।