নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস থেকে জেলেনস্কিকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা জ্যাকি হেনরিচ দাবি করেছেন, ট্রাম্প খানিকটা বলপূর্বকই জেলেনস্কিকে বের করে দিয়েছেন হোয়াইট হাউস থেকে।
শুক্রবার ওভাল অফিসে দুই নেতার মধ্যে শুরুতে কূটনৈতিক আলোচনা হলেও, ইউক্রেনকে সহায়তা, খনিজ সম্পদের চুক্তি ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির আচরণকে "অকৃতজ্ঞ" ও "অসম্মানজনক" বলে মন্তব্য করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন”। আর এই মন্তব্যের পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাল্টা জেলেনস্কিও এই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন। বৈঠকের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর জেলেনস্কিকে একটি কালো গাড়িতে করে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাতে সেখানকার সংবাদমাধ্যম দাবি করে, জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে বলেন, জেলেনস্কি নিজেই ক্ষুব্ধ হয়ে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/22/QOrRX5bysLJyv7Vann2d.jpg)
বরিষ্ঠ সাংবাদিক জ্যাকি হেনরিচ এই প্রসঙ্গে জানান, “আমাকে বলা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিয়েছেন। তার প্রতিনিধিদল তাকে জানিয়েছে যে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। রাষ্ট্রপতি অসম্মানিত বোধ করেছেন এবং মনে করেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন”।
এছাড়া, দুই রাষ্ট্রনেতার জন্য নির্ধারিত মধ্যাহ্নভোজনও বাতিল করা হয় এবং সেই খাবার প্রেস কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের মধ্যে একটি অর্থবহ বৈঠক হয়েছে, তবে আমি বুঝতে পেরেছি যে রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি এখনও শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তিনি মনে করেন, আমেরিকার সাথে আলোচনা তার জন্য সুবিধাজনক হবে, কিন্তু আমি কোনো সুবিধা চাই না, আমি শান্তি চাই। তিনি আমেরিকার প্রিয় ওভাল অফিসে এসে আমাদের অসম্মান করেছেন। যখন তিনি সত্যিকারের শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি ফিরে আসতে পারেন”।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/05/b6qveQ9PwhQ61JnITTK0.jpg)
এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের একটি বড় মোড় বলে মনে করা হচ্ছে। জেলেনস্কির হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইউক্রেনের জন্য কূটনৈতিকভাবে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলবে।