নিজস্ব সংবাদদাতা: ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফে গাজায় বোমা বর্ষণ বন্ধের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় হামাসকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর গাজায় হামাসের প্রায় ৮,০০০ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। হামাসের প্রায় সমস্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর গাজায় বড় ধরনের আর অভিযান চালানো হবে না বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
তবে বিক্ষিপ্তভাবে ইজরায়েল উত্তর গাজায় হামলা অব্যাহত রাখা হবে। হামাসের একটি পরিকাঠামো এখনও অক্ষত রয়েছে। পাশাপাশি হামাসের কিছু সেনা এখনও রয়েছেন বলেন ইজরায়েল জানিয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে উত্তর গাজায় রকেট হামলা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় হামাসের সমস্ত নেটওয়ার্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেখানে হামাস সংগঠিতভাবে কাজ করতে পারছে না। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় সেনা মোতায়েনের প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে জানানো হয়েছে, ইজরায়েল সেনাবাহিনীর যে লক্ষ্য রয়েছে, তা অর্জন করতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে গাজার উত্তর অংশ ছাড়া বাকি অংশগুলোতে ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলের ওপর হামলা করে। গাজায় ইজরায়েল রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান হামলা ও ড্রোন হামলা চালায়। পাশাপাশি ইজরায়েল সেনাবাহিনী ব্যাপক হামলা চালায়। ইজরায়েলের প্রায় ১,৪০০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। ইজরায়েলের ২৪০ জনকে বন্দি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলের হামলায় গাজায় মোট ২৩,০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫৮,০০০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইজরায়েলের হামলার জেরে বহু বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় বহু মানুষ এখনও আটকে থাকতে পারেন। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। গাজার ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার বেশিরভাগ মানুষ প্রবল ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন। গাজা জুড়ে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ইজরায়েল বর্তমানে বেশ খানিকটা আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। পশ্চিমি দেশগুলোর প্রতিনিধি দল রবিবার গাজা পরিদর্শন করে। সেখানে তারাও একই অভিযোগ করেছেন। অন্য দিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অসুস্থ ও আহতদের সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।