ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল হিন্দু আইনজীবী সংগঠন

বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলার প্রতিবাদে হিন্দু আইনজীবী সংগঠন ক্ষোভ জানিয়ে দাবি করেছে, ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Bangladesh

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর লাগাতার হামলা, নিগ্রহ ও হেনস্থার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে, যা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশে হিন্দু আইনজীবীদের সংগঠন একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকার ক্রমশ খর্ব করা হচ্ছে। তারা ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এই ধরনের অন্যায় ও নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে শর্তসাপেক্ষে দাবি জানিয়েছেন।

bangladesh-ezgif.com-resize

আইনজীবী সংগঠনের সদস্যরা বলেন, "এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত হামলার অংশ, যা দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীন করে তুলছে। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে হিন্দুদের ফাঁসানো হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।" তারা আরও দাবি করেছেন যে, সংখ্যালঘুদের প্রতি এই অবিচারের কোনো সুষ্ঠু প্রতিকার না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

Iskon

অধিকার রক্ষা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি একে একে দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলেন, “এভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকলে, তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে আন্দোলন চালানো হবে।” তারা আরও জানান, "আমরা আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে প্রস্তুত, এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলির কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করব।"

Iskon

বাংলাদেশের হিন্দু আইনজীবী সংগঠন আরও বলেন, দেশের সরকার যদি এই ধরনের হামলা এবং অবিচারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ধর্মীয় সংগঠনকে একত্রিত করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। তাদের দাবি, হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণ যেন নিরাপদে এবং সম্মানজনকভাবে তাদের জীবন-যাপন করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

Bangladesh

এছাড়া, হিন্দু আইনজীবীরা মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হিন্দুদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেছেন, "এই গণহত্যার মতো পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।" তাদের আহ্বান, বাংলাদেশে মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য সরকার যেন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।