নিজস্ব প্রতিবেদন : গিনির শবর বিসাউ অঞ্চলে ঘটে যাওয়া একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনায় ছড়িয়েছে চঞ্চল। এক মায়ের কোলে থাকা শিশু হেলেনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় শিম্পাজি জেজি। মা শিমূল আলু তুলতে গেলে শিম্পাজিটি আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে। প্রথমে মাকে কামড়ে আহত করে এবং পরে শিশুটিকে নিয়ে চলে যায়। শিশুটির মৃতদেহ পরবর্তী সময়ে নিম্বা মাউন্টেইন নেচার রিসার্ভের তিন কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায়।
শিশুটির লাশ দেখে সবাই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিল। ঘটনা যে এতটা মর্মান্তিক হবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি। বনকর্মীদের ধারণা, শিম্পাজিটি সম্ভবত ধারাল কিছু অস্ত্র ব্যবহার করে শিশুটিকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার পর এলাকার মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং চিড়িয়াখানায় হামলা চালায়। তারা স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে চায়, ফলে অনেক ডকুমেন্টও পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনা কেবল একটি পরিবারকে নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষের মনে গভীর ক্ষত রেখেছে এবং বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্বের উপর নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বাঁনর বিশেষজ্ঞ জেন ইয়ামাকাশি শিম্পাজির আচরণের পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে, শিম্পাজিরা অতীতে মানুষকে কিছুটা ভয় করত, কিন্তু এখন মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের পরিবর্তনের ফলে সেই ভয় কমে গেছে। তারা মানুষের সংস্পর্শে এসে যতটা নিরাপদ অনুভব করছে, ততটাই তাদের আক্রমণাত্মক আচরণ বাড়ছে। এছাড়া খাদ্যের জন্য প্রতিযোগিতা এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এই আগ্রাসী আচরণের পেছনে বড় কারণ বলে মনে করেছেন তিনি।