ভয়ঙ্কর হামলা, মৃত্যু হল বৃদ্ধার

ভয়ঙ্কর হামলার ফলে একজন ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন তার স্বামী। 

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
old

 

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। তবে এখনও যুদ্ধের মাত্রা ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। টানা যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে প্রতিদিন মৃত্যু মিছিল লেগেই রয়েছে। বৃহস্পতিবারও ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। যার মধ্যে অন্যতম ইউক্রেনের ওদ্রাডোকামিয়ানকা। খেরসনের তিয়াহিনের এই এলাকায় হামলার ফলে নতুন করে মৃত্যু ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়ান বাহিনীর হামলার ফলে ওদ্রাডোকামিয়ানকায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত বৃদ্ধার বয়স ৬০ বছর। মৃত বৃদ্ধা ও তার স্বামী একত্রে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় গোলাগুলি শুরু করে রাশিয়ান বাহিনী। রাশিয়ান বাহিনীর গোলাগুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। গোলাগুলির ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্বামীও। তার বয়স বর্তমানে ৭৩ বছর। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনিও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা যাচ্ছে। খেরসনের তিয়াহিনের ওদ্রাডোকামিয়ানকায় রাশিয়ান বাহিনীর হামলার ফলে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। হামলার ফলে ওদ্রাডোকামিয়ানকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এরপর কার মৃত্যুর পালা সেই ভয় বৃদ্ধি পাচ্ছে সকলের মধ্যে। আরএমএ প্রধান অলেক্সান্ডার প্রোকুদিন খেরসনের ওদ্রাডোকামিয়ানকায় হামলার বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওদ্রাডোকামিয়ানকায় এলাকায় মোতায়ন রয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ান বাহিনীকে আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। নতুন করে ওদ্রাডোকামিয়ানকায় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে একাধিক বার খেরসন অঞ্চলের একাধিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। যার ফলে ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলের মত খেরসনও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে হার মানতে নারাজ ইউক্রেনীয় বাহিনী। রাশিয়ান বাহিনীকে প্রতিক্ষণে কড়া টক্কর দিচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। রাশিয়ার বিপরীতে জয় আসবেই বলে আশাবাদী ইউক্রেন।