ইউক্রেনের ট্রেনে সফরের সময় মাদক নিচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট! দেখুন সেই ভিডিও
বিশ্বে ফের বেজে উঠল যুদ্ধের দামামা! এবার ইয়েমেনের তিন বন্দর খালি করার বিষয়ে সতর্কতা জারি করল ইজরায়েল
কেন ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন! সামনে আসছে একের পর এক কারণ
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি মার্কিন যুবক, মুক্তির ঘোষণা করল হামাস
ভারতে কোনও জঙ্গি হামলা হলেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হবে! হয়ে গেল বড় ঘোষণা
এবার শান্তি আসতে চলেছে ইউক্রেন ও রাশিতেই! তুরস্কে মুখোমুখি হতে চলেছেন পুতিন ও জেলেনস্কি
যুদ্ধবিরতি ফের পাকিস্তান লঙ্ঘন করলে... এবার সেনাবাহিনী বড় নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
BREAKING: ভারত জঙ্গিদের নির্মূল করতে যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারে, ফের মিলল প্রমাণ !
অপারেশন সিঁদুরে কজন শহিদ হয়েছেন! বড় খোলসা করল সেনাবাহিনী

যত খুশি বিয়ে করুন, কোনও আপত্তি নেই! বাংলাদেশে বহু বিবাহে আরোপিত কর বাতিল হয়ে গেল

বাংলাদেশে বহুবিবাহে আরোপিত কর বাতিল করল অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

author-image
Tamalika Chakraborty
আপডেট করা হয়েছে
New Update
c

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশে বহুবিবাহে আরোপিত কর বাতিল করল অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিয়েতে আরোপিত করকে "অযৌক্তিক" হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাতিল করা হয়েছে, যা এখন থেকে ট্যাক্স ছাড়াই একাধিক বিয়ে করার সুযোগ দেবে।

আসিফ নজরুল আরও জানান, বিয়ের ফর্মে মেয়েদের জন্য ব্যবহৃত শব্দচয়নেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে ফর্মে লেখা থাকত "বিবাহিতা নাকি কুমারী," যা আপত্তিকর বলে বিবেচিত হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুধু "বিবাহিতা নাকি অবিবাহিতা" উল্লেখ থাকবে।

তসলিমা নাসরিনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বে বহুবিবাহে বিভিন্ন স্তরে কর দিতে হতো। প্রথম বিয়ের জন্য কোনও কর লাগত না, তবে দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে ৫ হাজার টাকা, তৃতীয় বিয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ বিয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা কর দিতে হতো।

এই নিয়ম বাতিলের সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি অভিযোগ করেন, "বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার একটি সংস্কার চলছে। আইনি উপদেষ্টা নিজ স্বার্থে এই সংস্কার করেছেন। তিনি সম্প্রতি প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিয়ে করেছেন এবং চতুর্থ থেকে ত্রয়োদশ বিয়ে নির্বিঘ্নে করতে এই আগাম ব্যবস্থা নিয়েছেন।"

এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ একে সংস্কারের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন, আবার কেউ এর পেছনে ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় প্রভাবের অভিযোগ তুলেছেন।