নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ছাত্র আন্দোলনের জেরে আবারও উত্তাল ঢাকা (Dhaka)। ইউনুস সরকারকে (Yunus Government) চার ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সহ উপাচার্যকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ছাত্র ভর্তির অ্যাডমিশন টেস্টে কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার দাবিতেই এই আন্দোলন। তাঁদের ৬ দফা দাবি না মানা হলে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সাতটি কলেজের ছাত্রমহল।
ছাত্র আন্দোলনের পর হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল। সেরকম কোনও আন্দোলনের পথে হেঁটে ইউনুস সরকার গদিচ্যুত হবে? ইতিমধ্যে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে অধীনস্থ সাতটি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সংঘাত পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। রবিবার রাতেও নীলক্ষেত মোড়ে সংঘর্ষ ও বিক্ষোভের ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। তবে উত্তেজনা কমেনি, বরং তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই দাবিগুলি পূরণ করার জন্য ৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আরও চরম পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই কারণে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছে যে, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধীনস্থ সাতটি কলেজের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই নতুন আন্দোলন কি আবারও বাংলাদেশে একটি বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? এই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।