আর্থিক অনটন গ্রাস করেছিল পরিবারকে। সেকারণে অমত থাকলেও বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন নবম শ্রেণীর রোশনী পারভিন। কিন্তু পড়াশোনা ছাড়তে চাননি। তারজন্য বিবাহিত জীবনেও নেমে এসেছিল ঝড়। ঝড় সামলে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ইংয় অ্য়াক্টিভিস্ট সামিটে যোগ দিয়ে জয়ী হওয়ার সেই কাহিনী শোনাবেন রোশনী।

বিহারের কিসানগঞ্জের শিমুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রোশনী পারভিন। বাবা হায়দর আলি অটো চালান। অভাবের জেরে ২০১৪ সালে বিয়ে দেওয়া হয় রোশনীর। সন্তানও হয়। তার সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জেদ ধরে থাকেন তিনি। আর সেকারণে তালাক দেন স্বামী। তখন থেকেই বাপের বাড়িতেই রয়েছেন রোশনী। বর্তমানে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষায় সোশাল ওয়ার্ক নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ছেন তিনি। প্রায় ৫০টিরও বেশি বাল্যবিবাহ রুখেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই অনুষ্ঠানে ভারত ও সীমান্তবর্তী এলাকার বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে বলবেন রোশনী। জেনিভার আমন্ত্রণ পেয়ে নিজের উপর আস্থা বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।