পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা! নির্বাচন জিততেই পুরোনো স্মৃতিরোমন্থন

বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন, বললেন নবনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করলেন পুরোনো স্মৃতিরোমন্থন।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
hasinabang

হাবিবুর রহমান, ঢাকা: 'বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন। এই বিজয় জনগণের বিজয়।সোমবার বিকেলে গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কথা বললেন'।

তিনি বলেছেন, '৮ বার নির্বাচন করেছি। এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাবা যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, আমাকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে'। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বেঁচে যাই। ছয় বছর আমরা রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন। ১৯৮১ সালে দেশের মানুষ আমাকে দেশে আনে। মিলিটারি ডিক্টেটররা আমার দলকে রাজনীতি করতে দেয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের ক্ষমতায় বসায়। ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরি। আমার লক্ষ্য ছিল, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমার চলার পথ সহজ ছিল না। মৃত্যুকে বারবার কাছ থেকে দেখেছি। বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ২১ বছর পর সরকার গঠন করে মানুষের জন্য কাজ শুরু করি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। এই বারের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন করার পাশাপাশি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এ বিজয় জনগণের বিজয়'। বিদেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার জন্য তিনি নিজের, পরিবার ও দেশের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, আমাদের দেশের কথা বলবেন। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর'। এসময় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুলসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।