বেড়া ও প্লাইউড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হল হোয়াইট হাউস : নির্বাচনী ফলাফলের আগে নিরাপত্তা জোরদার

মার্কিন নির্বাচনের আগে ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে। বিশেষ করে হোয়াইট হাউসের কাছাকাছি এলাকায় প্লাইউড দিয়ে জানালা ঢেকে দেওয়া হয়েছে এবং বেড়া স্থাপন করা হয়েছে।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Usa

নিজস্ব সংবাদদাতা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের দিনকে সামনে রেখে, বিশেষ করে ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গত কয়েকটি নির্বাচনে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনার পর, এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই কড়া করা হয়েছে। বিশেষত, হোয়াইট হাউস এবং তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে যাতে নির্বাচনের সময় কোনো ধরনের অশান্তি বা সহিংস পরিস্থিতি তৈরি না হয়।

publive-image

ওয়াশিংটনের ব্যবসায়িক এলাকা, বিশেষত হোয়াইট হাউসের কাছাকাছি কিছু দোকান, ফার্মেসি ও রেস্তোরাঁ তাদের জানালা প্লাইউড দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। এটি এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি হিসেবে, যখন কোনো প্রতিবাদী গোষ্ঠী বা প্রতিবাদকারীরা সহিংসতার পথ অবলম্বন করতে পারে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দোকানগুলির ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। একইভাবে, হোয়াইট হাউসের আশপাশে বেড়া স্থাপন করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের জনসমাগম বা বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা করা যায়।

publive-image

এছাড়াও, নির্বাচনকালীন সময়ে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জাতীয় গার্ড, ফেডারেল পুলিশ এবং স্থানীয় পুলিশ বাহিনী নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতা বা প্রতিবাদ মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বা ভোটের দিন যদি কোনো অশান্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ফেডারেল এবং স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করবে যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং ভোটদানে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

publive-image

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, নির্বাচনের সময় জনসমাবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সাধারণ জনগণের সমাবেশ সীমিত করা হয়েছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হবে যাতে জনসমাগম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চায়।

এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে মূলত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, বিশেষ করে এমন একটি সময়ে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে এবং সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।