দ্বিতীয় বার শপথ, হাতে ১০০ দিনের লক্ষ্য, লক্ষ্যভেদ কি করতে পারবেন ট্রাম্প?

ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের "আক্রমণ" দমনের মাধ্যমে শুরু করার অঙ্গীকারও করেছেন।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
trump

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার আগে নিজের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিলেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় জমানার প্রথম ১০০ দিনে কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন, তারও আভাস দিয়ে রাখলেন ট্রাম্প। 

তাঁর অভিষেক হওয়ার ঠিক একদিন আগেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্ছ্বসিত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তার নির্বাচনী বিজয় যাত্রার কথা তুলে ধরেন এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক ফাটল সত্ত্বেও, জাতির ভবিষ্যত সম্পর্কে আস্থা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিন ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, “আগামীকাল আমেরিকা তার দীর্ঘ চার বছরের পতনের পর্দা সম্পূর্ণ ভাবে উঠিয়ে দেবে। পতন মুক্ত হবে দেশ। এর পর শুধুই উন্নতি দেখবে মার্কিন মুলুক। আমরা আমেরিকান শক্তি এবং সমৃদ্ধি , মর্যাদা এবং গর্বের একেবারে নতুন দিনের সূচনা করতে চলেছি”। এখানেই শেষ না করে ট্রাম্প বলেন, “আমরা নতুন আমেরিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরি করতে চলেছি, যা আমাদের দেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে”।

Trump

ওয়াশিংটনের ওই বিজয় ভাষণে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং পশ্চিম এশিয়ার অস্থিরতা নিয়েও মন্তব্য করেন। ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ রুখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ থামিয়ে দেব। পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিরতা বন্ধ করব এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়া আটকাব। আপনাদের কোনও ধারণা নেই, আমরা কতটা কাছাকাছি, পৌঁছে গিয়েছি”। 

একই সাথে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের "আক্রমণ" দমনের মাধ্যমে শুরু করার অঙ্গীকারও করেছেন। তাঁর কথায়, “আগামীকাল থেকে, আমি ঐতিহাসিক গতি এবং শক্তির সাথে কাজ করব এবং আমাদের দেশের মুখোমুখি প্রতিটি সংকট সমাধান করব। এর আগে, কেউ উন্মুক্ত সীমানা, কারাগার, মানসিক প্রতিষ্ঠান, নারীদের খেলাধুলায় উন্নতি সাধন ইত্যাদি সমস্ত বিষয়ের দিকে নজর দেব। খুব শীঘ্রই আমরা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন অনুশীলন শুরু করব”।

সংবাদ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দায়িত্ব গ্রহণের পরই আমেরিকার সীমান্তে নিরাপত্তার ওপর জোর দিতে চলেছেন তিনি। মাদক পাচার চক্রগুলিকে ‘বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠী’ হিসাবে ঘোষণা করা যেতে পারে। এছাড়া আমেরিকা এবং মেক্সিকোর সীমান্তে জরুরী পরিস্থিতিও ঘোষণা করা হতে পারে। 

Donald Trump

এদিন ২০ হাজারের বেশি ধারণক্ষমতা সহ ‘দ্য ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনা’ কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। ট্রাম্পের ভাষণ মুগ্ধ ভাবে শুনছিলেন তাঁর সমর্থনকারীরা। আর তারা প্রত্যেকেই আজকের এই বিশেষ দিনটির জন্যে সাদরে অপেক্ষা করছেন।