নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্কিন মসনদে আনুষ্ঠানিক ভাবে বসার সময় নিজের ১০০ দিনের টার্গেট তৈরি করে নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের রাজত্বের ১০০ দিনের মধ্যে ঠিক কী কী বদল করবেন তিনি, সেই বিষয়টাই খোলসা করেছিলেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। সেই তালিকা অনুযায়ী, যেমন ছিল কঠোর অভিবাসন নীতি, ঠিক তেমনই ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত।
শপথ গ্রহণের মাত্র ৪ দিনের মাথায় অভিবাসন নীতি অনুযায়ী অভিযান শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ৫০০-রও বেশি অবৈধ অধিবাসীকে চিহ্নিত করে তাঁদেরকে দেশছাড়া করা হয়েছে। আর এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিয়ে তেলের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কার্যকর উপায় হতে পারে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/21/nWzSmyXi5u7gVtMLD85t.jpg)
নর্থ ক্যারোলিনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, “আমরা ওপেককে তেলের দাম কমাতে দেখতে চাই। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউক্রেনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বন্ধ করবে। বর্তমানে এই সংঘাতে উভয় পক্ষই বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন”।
এই প্রসঙ্গেই, ট্রাম্প বলেন, “যদি ওপেক তেলের দাম বেশি রাখে, তবে এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। ওপেকের উচিত দায়িত্ব নিয়ে তেলের দাম কমানো, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুদ্ধ বন্ধে সহায়ক হবে”।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/21/NQruD6sttCkKk2XcxTZg.webp)
ট্রাম্পের বক্তব্যে মার্কিন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কৌশল এবং রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নতুন দিক খুলে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর হইত এই উন্নত সম্পর্কের হাত ধরেই ৩ বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সমাপ্তি ঘটবে।