নিজস্ব সংবাদদাতা : রাশিয়ার সেনাবাহিনী সম্প্রতি জানিয়েছে, ইউক্রেন রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি মার্কিন-নির্মিত ATACMS ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ছয়টি যুক্তরাজ্য-নির্মিত স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি বৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়ে আক্রমণ করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত বছর ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় ATACMS এবং স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো ২১ নভেম্বর ইউক্রেনে "ওরেশনিক" নামে পরিচিত একটি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সমস্ত পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৪৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। কৃষ্ণ সাগরের উপর দুটি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্রও ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১,১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হেনেছে এবং ব্রায়ানস্ক, সারাতোভ, তুলা ও তাতারস্তান অঞ্চলের তেল শোধনাগার, রাসায়নিক কারখানা এবং গোলাবারুদ কারখানাকে লক্ষ্য করেছে। তবে কিভাবে আক্রমণটি পরিচালিত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি, তবে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে আক্রমণে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের অনুমতি দেওয়ার পর, এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে, রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। সারাতোভ এবং এঙ্গেলস শহরে ব্যাপক ড্রোন হামলা হয়েছে এবং দুটি শিল্প স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলা লক্ষ্য করেছে রাশিয়ার তেল সংরক্ষণাগার, বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন একটি অধ্যায় শুরু করেছে, যেখানে দুটি পক্ষই একে অপরকে তীব্র প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।