নিজস্ব সংবাদদাতা: ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্প্রতি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা চালানো শুরু করে। সেই সময় থেকে ভয়ঙ্কর রুশ হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা বিশ্বের সকলকে বারবার বলি যে এই সন্ত্রাস বন্ধ করার ক্ষমতা আছে। ইউক্রেনে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র দরকার।"
ইউক্রেনের পোলতাভা অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান, ফিলিপ প্রোনিন টেলিগ্রামে সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করেছেন, তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী কর্মীরা ঘটনাস্থলের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার এবং অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রোনিন বলেন, প্রশাসন আশঙ্কা করছে আরও ১৮ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের একটি সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১০টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। মস্কো হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে একজন সুপরিচিত রাশিয়ান সামরিক ব্লগার ভ্লাদিমির রোগভ মঙ্গলবার মন্তব্য করেন, যে রাশিয়া পোলতাভায় একটি সামরিক স্কুলে আঘাত করেছে।
আক্রমণ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি কিয়েভকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা সরবরাহ করার আবেদন করেন। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য তার আহ্বান করেন। তিনি বলেন, “রাশিয়ান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে এমন দূরপাল্লার হামলা এখন দরকার, পরে নয়। "