নিজস্ব সংবাদদাতা: গাজার মধ্যে সব থেকে নিরাপদ শহর ছিল রাফাহ। ইজরায়েলে হামলার পর থেকে গাজার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেষ্টি জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের হামলার পর থেকে রাফাহ শহরের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ গুন বেড়ে গিয়েছে। রাফাহ শহরে গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে রাফাহ শহর জুড়ে ডাইরিয়া দেখা দিয়েছে। UNRWA একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, শুধু ডাইরিয়া নয়, রাফাহ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে হেপাটাইটিস এ।
এর পাশাপাশি ইজরায়েল গাজার মানুষদের একমাত্র আশ্রয়ের জায়গা রাফাহতে হামলা চালাতে শুরু করেছে। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিমান বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। সোমবার ইজরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাসের তরফে দাবি করা হয়েছে। যার জেরে নতুন করে নিরাশ্রয় গাজার মানুষ আশ্রয় হারা হতে চলেছেন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে। এই খবরের জেরে বিশ্বের সাধারণ মানুষের চোখ ভিজতে শুরু করেছে। ইজরায়েলের গাজা হামলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দুই কিশোর-কিশোরী বাবা-মাকে হারায়। অনাথ হয় দুই কিশোর কিশোরী সাত ভাইবোনকে নিয়ে রাফাহ শহরের একটি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন। দুবেলা পেট ভরানোর জন্য তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। সাত ভাই-বোনের মধ্যে একটি ছয় মাসের শিশু রয়েছে। নতুন করে পরিবার বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সাত ভাই-বোনের মনে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় খাদ্য সঙ্কট ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাফাহতে ইজরায়েলের হামলার জেরে ত্রাণ আসতে পারছে না। যার জেরে খাদ্য সঙ্কট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের তরফে দাবি করেছে, হামাসের অধীনে থাকা দুই পণবন্দিকে তারা উদ্ধার করতে পেরেছে। অন্যদিকে, হামাসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের হামলার জেরে তিন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। রাফাহতে হামলার জেরে ১০ জন ইজরায়েলের সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে হামাসের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইজরায়েলের মিত্র দেশ বিশেষ করে আমেরিকাকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই হত্যালীলা বন্ধ করতেই আমেরিকার কাছে আহ্বান করা হয়।