নিজস্ব সংবাদদাতা : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি ‘ইস্টার যুদ্ধবিরতি’র ঘোষণা করেছেন। তবে অনেক বিশ্লেষকের মতে, এটি শুধুই এক কৌশল—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন জয় করার চেষ্টা। মূলত, রাশিয়াকে নিয়ে আমেরিকার অবস্থান যাতে বেশি কঠোর না হয়, সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/03/DEE2YPlBPlqkWst7L3Tg.jpg)
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হোয়াইট হাউস থেকে আসা নানা মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প এখন শান্তি আলোচনায় বিরক্ত। তিনি চান দ্রুত কোনও চুক্তি হোক, না হলে যুক্তরাষ্ট্র আলাদা পথ নেবে। গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি পুতিনের ওপর বেশ ‘রেগে’ আছেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, রাশিয়া যদি শান্তি চুক্তিতে বাধা দেয়, তাহলে রাশিয়ার তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে। তবে পরে সেই শুল্কের তালিকা থেকে রাশিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়, যা নিয়ে আরও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/06/6h3QbTqpifosoGHiafQ3.webp)
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্টভাবে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দীর্ঘদিন আলোচনায় বসে থাকতে চান না। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে রাশিয়া আদৌ শান্তির ব্যাপারে আন্তরিক কিনা। পুতিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার আগের দিনই ট্রাম্প বলেছিলেন, 'রাশিয়া বা ইউক্রেন যদি শান্তি আলোচনাকে কঠিন করে তোলে, তাহলে তাহলে আমেরিকা আর এই আলোচনায় থাকবে না।' সব মিলিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে—পুতিনের যুদ্ধবিরতি কি সত্যিই শান্তির বার্তা, না কি এটা শুধুই যুক্তরাষ্ট্রকে শান্ত রাখার একটা রাজনৈতিক চাল?